স্টাফ রিপোর্ট :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় এক সন্তানের জননী লুপা দাস (২০) নামক এক গৃহবধূ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। স্বামী সৌরভ(২৮) কে আটক করে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও থানা সুত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়ন কলকলিয়া গ্রাম নিবাসী গলিন্দ্র দাস এর ছেলে সৌরভ দাস(২৮), প্রায় বছর দেড়েক আগে একই গ্রাম সুশান্ত দাস এর মেয়ে লুপা রানী দাস (২০)কে বিয়ে করেন। গত ২৪ শে অক্টোবর শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫ ঘটিকার সময় সৌরভ দাস (২৮) এর স্ত্রী লুপা রানী দাস (২০) নিজ বসত ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এমন সংবাদ পেয়ে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে অত্র থানার এসআই মোঃ আল আমিন ও এসআই মোঃ কবির আহমদ সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেন এবং লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করেছেন।
এসময় কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিক মিয়া, প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাসিম ও সাবেক মেম্বার মির্জা আব্দুল লতিফ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
লাশ উদ্ধারকালে লাশের নাখ ও মূখে রক্তের দাগ দেখা গেছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।
নিহত লুপা রানী দাস এর পিতা সুশান্ত দাস বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ের স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজনের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল। আমার মেয়ে ওই পরিবারে সুখী ছিল না। আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি বিচার পেতে মামলা করব।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁঞা বলেন, লুপা রানী দাস (২০) নামক এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করার পাশা-পাশি সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশের ময়নাতদন্তের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, তাৎক্ষণিক মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেল মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এই ঘটনায় নিহতের স্বামী সৌরভ দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য আটক করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
ইকবাল হোসাইন কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত
𝐄𝐦𝐚𝐢𝐥: 𝐬𝐡𝐮𝐯𝐨𝐣𝐚𝐭𝐫𝐚𝟐𝟎𝟐𝟓@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত