মো:শফিকুল ইসলাম (শফিক)
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।
বিএনপির মধ্যে লুকিয়ে থাকা মুনাফিক ও আ'লীগের দালালদের চিহ্নিত করতে হবে।এরা আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী। এদের বিরুদ্ধে দলের নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বিএনপির উদ্যোগে আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার অডিটোরিয়ামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও বন্যায় নিহতদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে এ কথা বলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামীলীগ আমাদের সব কেড়ে নিয়েছে। আমরা আইন হাতে তুলে নিয়ে তাদের বিচার করব না। দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিচার হবে।
জনাব চৌধুরী এছাড়াও বলেন, ‘নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করতে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে স্বৈরাচারের দোসর ও বিএনপির মধ্যে থাকা বর্ণচোরারা যাতে নস্যাৎ করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমি মির্জাগঞ্জের সন্তান, কেন্দ্রীয় প্রোগ্রামে আসার সময় আমার গড়িতে হামলা করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। যারা এই হামলায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিল তাদেরকে বিএনপি'র মধ্যে থাকা আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা গেঞ্জি উপহার দিয়েছে। এর বিচার আমি মির্জাগঞ্জের সাধারণ মানুষের কাছে দিলাম।
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, আওয়ামীলীগ যে আমাদের উপরে অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে তারপরও আমরা সাধারণ মানুষের ভালোবাসা নিয়েই টিকে আছি। যারা এই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেবে তাদেরকে সাধারন মানুষ ক্ষমা করবে না।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপি'র সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন সিকদার সভাপতিত্বে এবং সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম খোকনের সঞ্চালনায় সময় আরও বক্তব্য দেন বিশিষ্ট সমাজ সেবিকা জনাবা সুরাইয়া আক্তার চৌধুরী, জেলা বিএনপির নেতা মাকসুদ আহমেদ বায়েজীদ পান্না মিয়া, পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও আলতাফ হোসেন চৌধুরীর আইনজীবী এ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান, জেলা মহিলা দলের সাবেক সভানেত্রী অধ্যাপিকা লাইলা ইয়াসমিন, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফিরোজ আলম গোলদার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ফরাজী, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল মৃধা, আমিনুল ইসলাম মিনু, মাধবখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহীন চৌধুরীর পাশা, সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম খন্দকার, মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মৃধা, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক গাজী রাশেদ শামস, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের আহবায়ক আবুল বাশার মোখলেচ প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাবা সুরাইয়া আক্তার চৌধুরী বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যূত্থানের মাধ্যমে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে তার প্রদান প্রতিপাদ্যই ছিল কোনো স্তরে বৈষম্য থাকবে না। সেক্ষেত্রে আমাদের এই বিজয়কে সাফল্যমন্ডিত করতে হলে আমাদের সন্তানদেরকে মেধাবী হতে হবে। পড়াশোনা করতে হবে। এ সময় তিনি আল কুরআনের সূরা ইনশিকক পাঠ করে তার উদ্ধৃতি দিয়ে ব্যাখ্যা করেন।
আলতাব হোসেন চৌধুরী পটুয়াখালী-১ (মির্জাগঞ্জ -পটুয়াখালী সদর ও দুমকি) আসন থেকে দুবার (১৯৯৬ ও ২০০১) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচন হওয়ার পরে তিনি পর্যায়ক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।উক্ত অনুষ্ঠানে মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষ করার মতো।
ইকবাল হোসাইন কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত
𝐄𝐦𝐚𝐢𝐥: 𝐬𝐡𝐮𝐯𝐨𝐣𝐚𝐭𝐫𝐚𝟐𝟎𝟐𝟓@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত